Click Here to Join Free

Monday, April 23, 2012

প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহারের সতর্কতা

বাজারে বা দোকানে মিনারেল ওয়াটার, কোকা-কোলা, সেভেনআপ, স্প্রাইট, আরসি কোলা ইত্যাদি পানীয় এবং বিভিন্ন ফলের জুস পাওয়া যায় প্লাস্টিকের বোতলে। বোতলগুলো পলিইথিলিন টেরেপথেলেট নামের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। একবার ব্যবহার্য। কিন্তু এই বোতলগুলো হরহামেশাই একাধিকবার ব্যবহার হচ্ছে। আমরা প্রায় সবাই এগুলো সপ্তাহ বা মাস ধরে বারবার ব্যবহার করি। বস্তুত যত দিন নষ্ট না হচ্ছে, তত দিনই ব্যবহার করি। যদিও সঠিকভাবে পরিষ্কার করে ব্যবহার করলে প্লাস্টিকের একই বোতল বেশ কয়েক দিন ব্যবহার করা যেতে পারে, তবুও বোতলগুলো পরিষ্কার করা বা পরিষ্কার রাখা ততটা সহজ নয় বলে একই বোতল বারবার ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বেশ। 
পানির গ্লাস বা মগের মুখ বড়। এগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার রাখা সহজ। কিন্তু বোতলের মুখ সরু বলে এর ভেতরটা পরিষ্কার করা সত্যিই বেশ কঠিন। তা ছাড়া ব্যবহারের সময় হাতের স্পর্শে বা ঠোঁটের ছোঁয়ায় জীবাণু লেগে যেতে পারে বোতলের মুখের প্যাঁচে। পরে সেখান থেকে কিছু জীবাণু চলে যাবে বোতলের ভেতরে, কিছু লাগবে বোতলের মুখ বন্ধ করার সময় এর ক্যাপে বা ঢাকনায়। দিনে দিনে সংখ্যায় বৃদ্ধি পাবে জীবাণু এবং বাড়াবে স্বাস্থ্যঝুঁকি। একই বোতল থেকে একাধিক ব্যক্তি মুখ লাগিয়ে পানি বা পানীয় পান করলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। বারবার ব্যবহারের ফলে নরম প্লাস্টিকের বোতল এবড়োখেবড়ো হয়ে যায়। বোতলের গায়ের নানা স্থানে টোল পড়ে। টোল পড়া এসব জায়গায় জীবাণু নিরাপদে বসবাস বংশ বৃদ্ধি করতে থাকে। এসব জীবাণুর কারণে পেটের নানা পীড়া, যেমন পেটব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া বারবার ব্যবহারের সময় বোতলের প্লাস্টিকের কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশে শরীরের ক্ষতি করে কি না, সে চিন্তাও মাথায় রাখতে হবে। তাই একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বোতল একাধিকবার ব্যবহার না করাই ভালো। আর একাধিকবার ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
  1. বোতল সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে। হাতের বা ঠোঁটের ছোঁয়ায় বোতলের মুখে ক্যাপে যেন জীবাণু না লাগে, সে খেয়াল রাখতে হবে। বোতলের মুখে মুখ লাগিয়ে পানি বা পানীয় পান না করে বোতল থেকে ঢেলে পান করতে হবে। সেটা গ্লাসে ঢেলেই হোক কিংবা বোতল থেকে সরাসরি মুখে ঢেলেই হোক। অন্যের মুখে দেওয়া বোতলের পানি বা পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 
  2. বোতলটি দ্বিতীয়বার ব্যবহারের আগে এর মুখের প্যাঁচ ক্যাপ এবং ভেতরটা ভালো করে সাবানের ফেনা নিরাপদ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। 
  3. বারবার ব্যবহারে বোতলের গায়ে যেন টোল না পড়ে, সে খেয়াল রাখতে হবে। টোল পড়া এবড়োখেবড়ো বোতল বাদ দিতে হবে। 
  4. পানিতে লৌহ অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ থাকে। সে জন্য বারবার ব্যবহারে বোতলের ভেতরটা লাল হয়ে যেতে পারে। বিশ্রি দেখাবে তখন। জীবাণুও থাকবে বেশ। এরূপ বোতলের ব্যবহার তখন অবশ্যই বাদ দিতে হবে।
পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের শেয়ার করুন কমেন্ট করে আমাদেরকে জানান ।

প্রাপ্ত বয়স্কদের ঠান্ডায় কি করা উচিত?

প্রাপ্ত বয়স্ক বছরে গড়ে তিনবার ঠান্ডায় ভোগেন। এই ঠান্ডা কমবেশি স্থায়ী হয় নয়দিন। এই সূত্র যে সবার বেলা খাটবে এমন কিন্তু না। তবে পরিসংখ্যানটা মোটামুটি এমন। তাই বলে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। ঠান্ডার বিরুদ্ধে যেমন লড়তে হবে, জিততেও হবে।

প্রচুর তরল খেতে হবেঃ  
ঠান্ডার জীবাণুগুলো শরীরে ঢোকার সাথে সাথেই তার কর্মযজ্ঞগুলো দ্রুত শুরু করে দেয়। শুরু হয় গলা ব্যথা , নাক বন্ধ ভাব। আরও কত্ত কি। সময়টায় দেরি না করে খেতে হবে প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার। আর তরল খাবার উপসর্গগুলোর বিরুদ্ধে খুব ভালো লড়তে পারে।

ফলের মধ্যে কমলাঃ  
শীতের সময় বাজারে প্রচুর কমলা পাওয়া যায়। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ঠান্ডা প্রতিরোধের এক বড় অস্ত্র, তাই ঠান্ডা লাগলে তো অবশ্যই না লাগলেও নিয়ম করে প্রতিদিন কমলা খান।

লবণপানিতে কুলকুচাঃ  
শীতের সময়টায় একটু ঠান্ডা লেগে গেলেই গলার ভেতরটা কখনো কখনো কাঁটা বিঁধার মতো খচখচ করে। দ্রুত এক গ্লাস গরম পানিতে আধা চা-চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচা করুন।
এই লবণ কণ্ঠনালির কোষ থেকে অতিরিক্ত জল শুষে নিয়ে গলার সংক্রমণ কমাবে। ছাড়া লবণপানি গলার ভেতরে বাসাবাঁধা ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসকে ধুয়ে-মুছেও পরিষ্কার রাখবে।

মধুতে সমাধানঃ  
চিরচেনা সেই মধু হতে পারে সহজ সমাধান। এক কিংবা দুই চামচ মধু সরাসরি খেয়ে ফেলুন। আর মধুতে যদি অনিহা থাকে, চা খান। তবে চিনির বদলে মধু দিয়ে। ঠান্ডা পালাবেই।

শরীরকে বিশ্রাম দিনঃ  
জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে শরীরে শক্তির জোগান দিন। ভারী কাজ থেকে বিরত থাকুন। শরীরকে একটুখানি বিশ্রাম দিলে সে জীবাণুর সঙ্গে লড়বে বীরের মতোই।

হালকা শরীরচর্চাঃ  
আপনি যদি রাজি থাকেন, হালকা শরীরচর্চাও করতে পারেন। শরীরচর্চায় শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে মনে রাখতে হবে, শরীরচর্চা হবে খুবই পরিমিত।

দিনের শেষেঃ  
সুষম খাদ্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। তাই রাতের খাবারের তালিকায় মাছ, মাংস, ডালের মতো প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। সঙ্গে সবজি আর ফলমূল তো থাকবেই। আর এগুলো যদি মুখে না রোচে গরম এক বাটি স্যুপ অবশ্যই।
পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের শেয়ার করুন কমেন্ট করে আমাদেরকে জানান ।